কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিসংতায় পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ পাঁচজনের কবর জিয়ারত এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। নিহত অন্যান্যরা হলেন- মানিক মিয়া, মিলন, কালাম উদ্দীন এবং সাজ্জাদ হোসেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার রংপুর জেলা ও মহানগর এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় নিহতদের কবর জিয়ারত করেন সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের বাড়িতে যান ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। কবর জিয়ারত শেষে আবু সাঈদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন।
সাক্ষাত শেষে সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতেই হবে। জুলাই আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সকল শহীদের পাশে থাকবে ছাত্রদল। যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্ররা রাজপথে ছিল এবং শহীদ হয়েছে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়েই ছাত্রদল রাজপথে থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেভাবে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে রাজত্ব করেছে, ধর্ষণ, লুণ্ঠন বিভিন্ন অপরাধসহ বর্বরতা চালিয়েছে সেদিকে লক্ষ্য করেই সাধারণ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসমূহে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা বলছে।
সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, খুনি হাসিনা সরকারের পেটুয়া বাহিনীর দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে আবু সাঈদ। একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এবং একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আবু সাঈদ আত্মত্যাগ করেছে। আবু সাঈদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনে রাখবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম