
বাংলাদেশের লাখ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ চালু করতে কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় অনুষ্ঠিত ‘আর্থনা সামিট’-এর ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আব্দুল্লাহ আল হামাদির সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটির চলমান মানবিক কার্যক্রম, বিশেষ করে অনাথ শিশুদের স্পন্সর প্রোগ্রাম এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি সরবরাহের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা উদীয়মান প্রযুক্তি যেমন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা শেখার ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী।’
তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যে কোনো ধরনের সহায়তা আমরা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করব।’ তিনি উল্লেখ করেন, কাতার চ্যারিটি সরাসরি বাংলাদেশি মাদ্রাসার সঙ্গে কাজ করে তাদের পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তি শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত দ্রুত শিখে নিতে পারে। তারা এই দক্ষতাগুলো দ্রুত আয়ত্ত করতে পারবে।’
এ সময় কাতার চ্যারিটির প্রধান জানান, সংস্থাটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় জীবনদক্ষতা ও জীবিকাভিত্তিক প্রোগ্রামের সহায়তা করেছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, অধ্যাপক ইউনূসের প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
বৈঠকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গাদের জন্য এলপিজি সরবরাহ বজায় রাখার পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাতার চ্যারিটির সহায়তা আরও সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে, তিনি বিশেষ করে মাদ্রাসার ছাত্রীদের জন্য টার্গেটেড সহায়তা চেয়েছেন।
উভয় নেতা বাংলাদেশে মাইক্রোফাইন্যান্স উদ্যোগ ও এর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে বাংলাদেশের বেসরকারি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও দারিদ্র্য মোকাবেলায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।