
ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কীভাবে জীবন বদলে দেওয়া সম্ভব সেই গল্প কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে শোনালেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন বদলে ফেলার গল্প শুনিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ আমি সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণে সরাসরি নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরব, যা আমার নিজ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যন্নোয়ন ঘটিয়েছে। তাদের জামানতহীন ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার পর দেখা গেছে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম মানুষের জীবনধারণ, জীবিকা বা আয়ের উৎস তৈরি করেছে। এর ফলে ঋণগ্রহীতা ও পরিবার দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, দরিদ্রতা গরীব মানুষের তৈরি নয়। এটি একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার ফল, যেখানে সম্পদ ঊর্ধ্বমুখী হয়। সম্পদ আরও সংকীর্ণভাবে কেন্দ্রীভূত হয়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক ব্যবসা সেই ফাঁদ ভাঙতে পারে এবং লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে পারে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণের সফলতার অনেক রেকর্ড আছে। বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংকের অগ্রণী ভূমিকায় সেটি ঘটেছে। বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গ্রামের দারিদ্র্য মানুষকে বিশেষ করে নারীদের জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েছে। এটি বিশ্বের ৩০ কোটি মানুষের ক্ষমতায়ন করেছে তাদের নিজেদের উদ্যোক্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে।
উল্লেখ্য, দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল এবারের ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে যোগ দিতে অধ্যাপক ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে কাতারে রয়েছেন।