
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশকে চীন সরকার এক হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল উপহার দেবে। তিস্তা প্রকল্পের আশপাশে এ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
নূরজাহান বেগম বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা আমাদের একটি হাসপাতাল উপহার দিতে চায়, যা আমরা রংপুরে নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। দ্রুত কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতকে আমরা বলেছিলাম, রবোটিক ফিজিওথেরাপির সেট একটি আমাদের উপহার হিসেবে দিতে। শুধু আন্দোলনে আহতদের জন্য না, ভবিষ্যতেও দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য লাগবে এটা আমাদের। চীন কথা রেখেছ, তারা একটি সেট আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে। সেটা বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে আছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার উইথ রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি দিচ্ছে চীন সরকার। এই সেন্টার স্থাপন করতে ছয় হাজার স্কয়ার ফুটের মতো জায়গা লাগবে। আমরা জায়গা ঠিক করেছি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে এটা ডেডিকেটেড করা থাকবে। আমাদের আহতরা সেখানে ফিজিওথেরাপি নিতে পারবে। এজন্য আমরা একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেব। ব্যাংকক থেকে আমরা এক্সপার্ট নিয়ে আসব, তারা এখানে ট্রেনিং দিয়ে গেলে ভবিষ্যতে সবাই এখান থেকে সহায়তা পাবেন।
একটা রবোটিক ফিজিওথেরাপি বসালে হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গে এবং চট্টগ্রামে দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে ওখানকার রোগীদের ফিজিও থেরাপি দিতে এখানে আনতে না হয়।
হাসপাতাল বানানো প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, তিস্তা প্রকল্পের আশপাশে ন্যূনতম ১২ একর জায়গা খোঁজা হচ্ছে। নীলফামারী, রংপুর এবং দিনাজপুরের মাঝামাঝি জায়গায়। তবে নীলফামারীর একটা জায়গা পেয়েছি। এটার সম্ভাবনা যাচাইয়ের সমীক্ষা করব আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান উপস্থিত ছিলেন।