বুধবার,

১২ মার্চ ২০২৫,

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বুধবার,

১২ মার্চ ২০২৫,

২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

Radio Today News

দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’, মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ১২ মার্চ ২০২৫

Google News
দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’, মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার (১২ মার্চ) শিশুটির চিকিৎসায় যুক্ত এক চিকিৎসক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে।

বর্তমানে শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। সিএমএইচের চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটির চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ওই শিশুর চিকিৎসায় সিএমএইচের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, তার অবস্থা আরো জটিল হয়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসায় তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। পরে দ্বিতীয়বার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগপর্যন্ত এই অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ কারণে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দিলে মস্তিষ্কের এত ক্ষতি হতো না। 

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ দিবাগত রাতে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। এ ঘটনায় তার মা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত। 

ঘটনার পর দিন ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের