
বাংলাদেশ সরকারকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য পণ্য ব্যবহার সংক্রান্ত আইন সংশোধনী পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে গ্লোবাল এডভোকেসি গ্রুপ উই আর ইনোভেশন। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে ইনোভেটিভ নিকোটিক পণ্যগুলো নিষিদ্ধ করা হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
চিঠিতে উই আর ইনোভেশন এমন কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করেছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সুইডেন, যুক্তরাজ্য এবং নিউজিল্যান্ড এর মতো দেশগুলোতে সফলভাবে ধূমপানের ক্ষতিহ্রাসে ভূমিকা রেখেছে।
২০২৪ সালে ইফেক্টিভ এন্টি স্মোকিং পলিসিস গ্লোবাল ইনডেক্স ও পাথ টু স্মোক ফ্রি প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে উইআর ইনোভেশন বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতির সঙ্গে ভেপিং, ই-সিগারেট, পাউচ ও স্নুসের মতো ইনোভেটিভ নিকোটিক পণ্যগুলো সংযুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশে প্রায় নয় লাখ বিশ হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
পাশাপাশি প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় কম ক্ষতিকর এসব পণ্যগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে কালোবাজারের প্রসার আরোও বাড়িয়ে দিতে পারে। যাতে করে নকল ও নিম্নমানের পণ্যের ফলে ক্ষতি কমানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে।
সুইডেনে ধূমপানের হার পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ। যা ইউরোপের মধ্যে সর্বনিম্ন। যেটা ধূমপানবিরোধী পদক্ষেপের পাশাপাশি বিকল্প নিকোটিন পণ্য যেমন ই-সিগারেট, নিকোটিন পাউচ এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিয়মতান্ত্রিকভাবে সহজলভ্য করার ফলে সম্ভব হয়েছে বলেও বলছে সংগঠনটি।
এসব পণ্যের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি ধূমপান ছাড়তে সফল উদাহরণ হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রে ২০২০ সাল থেকে সাত শতাংশ ধূমপান হ্রাস, গ্রিসে ছয় শতাংশ হ্রাস, জাপানে হিটেড টোব্যাকো নিয়ন্ত্রণের পর সিগারেট বিক্রিতে ৫২ শতাংশ কমেছে, এবং নিউজিল্যান্ডে ২০১১ থেকে ২০২৩ সালে ধূমপানের হার ছয় দশমিক আট শতাংশে নেমেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারকে কঠোরভাবে সিগারেট নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি সিগারেট ছাড়তে তুলনামূলক কম ক্ষতিকর পণ্যেগুলোকে একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে গ্লোবাল এডভোকেসি গ্রুপ উই আর ইনোভেশন।
সংগঠনটি জোর দিয়ে বলেছে যে, নিকোটিক নির্ভর এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা হলে নিষিদ্ধকরণের কারণে বেড়ে ওঠা কালোবাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকারকে গবেষণা ও বিজ্ঞান ভিত্তিক নীতি প্রণয়নে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে