বৃহস্পতিবার,

৩০ জানুয়ারি ২০২৫,

১৭ মাঘ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

৩০ জানুয়ারি ২০২৫,

১৭ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে: ডা. জাহিদ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:০১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে: ডা. জাহিদ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না বলে দাবি করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের এক দোয়া-মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাহিদ বলেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, বরং তিনি ক্রীড়াঙ্গনের একজন মেধাবী সংগঠক ছিলেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতায় বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্বে যে অবস্থানে পৌঁছেছে, তা অন্য কারও নামে কৃতিত্ব দিলে ইতিহাস বিকৃত হবে।

তিনি আরও দাবি করেন, আরাফাত রহমান কোকোকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার মৃত্যুকে আমরা কখনই স্বাভাবিকভাবে নিইনি এবং এখনও নিচ্ছি না। কাজেই আমরা এটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, এর মূল রহস্য কী। সে অনুযায়ী এর সঙ্গে সম্পৃক্ত যারাই আছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময়ই চেষ্টা করবো। 

এসময় দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষ জিয়া পরিবারের প্রতি যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতাও জানান।

ডা. জাহিদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানে অনেকেই আছেন যারা নিজ কানে শুনেছেন ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’। ২৬ এবং ২৭ মার্চ ১৯৭১ আমরা অনেকেই শুনেছি। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, যিনি নিজের পরিবারকে তুচ্ছ করে দেশকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, "জিয়াউর রহমান দেশের সিপাহী-জনতার সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে শাসন করেছেন। তার সাড়ে চার বছরের শাসনামলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে মজবুত হয়েছিল।

ডা. জাহিদ বলেন, দেশে যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না হতো, মুক্তিযুদ্ধ না হতো, আপনারা কোনও অবস্থাতে ৯০ও দেখতেন না, ২৪ এর ৩৬ জুলাইও দেখতেন না। বহু মানুষের ত্যাগের উপর দাঁড়িয়েই আজকের বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেমন আবু সাঈদের কথা ভুলবো না, মুগ্ধের কথা ভুলবো না ঠিক একই ভাবে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের  কথাও ভুলবো না। গত ১৫টি বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুদ্ধ করেছে, তাদের সবাইকে যার যার সম্মান দিতেই হবে। কাজেই বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক বলেন, খালেদা জিয়া তো সুস্থ অবস্থায় জেলে গেছেন। তাকে তিলে তিলে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর বিচার করতেই হবে। আর এখন ছাত্ররা দেশ চালাচ্ছেন। ছাত্ররা দেশ চালালে শিক্ষকরা কী করবেন?

আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কোঅরডিনেটর আবু নাছের শেখ ও শরফরাজ শরফুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের