নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলেছেন, কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনরা একমত নাও হতে পারেন। তবে, সংস্কার ছাড়া বিদ্যমান আইনের সঠিক ব্যবহার হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েও দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন বিশ্লেষকরা আরও বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনতা, দলগুলোর মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছা ও সঠিক ভোটার তালিকা থাকলে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলেও সংস্কারের তাগাদা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
গেলো বুধবার, প্রধান উপদেষ্টার কাছে অন্য তিন কমিশনের সাথে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সংস্কার প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের সাজাপ্রাপ্তদের প্রার্থিতার সুযোগ না থাক, কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনঃনির্বাচনের প্রস্তাবসহ ১৫৫টি সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।
কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলী বলছেন, সভ্য দেশে এসব আইন আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন হয় না। সংস্কার ছাড়াই পুরোনো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও আইন দিয়ে ২০১৪ আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা গেছে।
তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধেরে পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে নির্বাচনে ব্যবহার বন্ধ ও সঠিক মনোনয়ন ছাড়া কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
‘সরকার ভোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করলে আন্দোলনের কথা ভাববে বিএনপি’‘সরকার ভোটের দাবি প্রত্যাখ্যান করলে আন্দোলনের কথা ভাববে বিএনপি’
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন বাধ্যতামূলক পছন্দের বিষয়। তবে, মাঝে মাঝে সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেছেন নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান। সংস্কার প্রতিবেদনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনঃনির্বাচনের বিষয়ে আপত্তি জানান তিনি। তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন গঠনেরও সমালোচনা করেন তিনি।
শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ নয়, একটি ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের আইন প্রয়োগের ক্ষমতা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন বলছেন তারা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম