কোনো দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলে সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিকেলে সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি জানান, ১৬টি ক্ষেত্রে প্রায় ১৫০টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। ‘ভাঙা’ নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পাশাপাশি সব অংশীজনকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে এই সুপারিশগুলো করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-
১. কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
২. কোনো দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
৩. বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার দিতে হবে।
৪. রাষ্ট্রপতি হবেন নির্দলীয়।
৫. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন দেওয়া।
৬. ২০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
৭. জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হবে।
৮. দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কেউ যেন রাষ্ট্রপতি না হন।
৯. একই সঙ্গে কেউ প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান পদে থাকতে পারবেন না।
১০. সংসদের উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক ভিত্তিতে।
১১. উচ্চকক্ষের অর্ধেক সদস্য হবেন দলীয়, বাকি অর্ধেক হবেন নির্দলীয়। নির্দলীয় সদস্যদেরও রাজনৈতিক দলগুলোই মনোনয়ন দেবে। কিন্তু সেখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
১২. সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ হবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে।
১২. সংসদের আসন ১০০টি বাড়ানো। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা এবং এগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচন করা। যার মাধ্যমে নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন।