মঙ্গলবার,

১৪ জানুয়ারি ২০২৫,

১ মাঘ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

১৪ জানুয়ারি ২০২৫,

১ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনের নিয়োগের ভুয়া খবর প্রচার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনের নিয়োগের ভুয়া খবর প্রচার

৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে মনোনীত করে সুপারিশ করেছিল। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীর নিয়োগ দিয়ে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করে।

তবে, পরে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এতে বাদ পড়ে ২৬৭ জন প্রার্থী। বাদ পড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ৪০ জন প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন এবং ২২৭ জনকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়, বাদ পড়া ওই ২৬৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৯ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই দাবিটি সঠিক নয়।

রিউমর স্ক্যানার নামে প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনটি মূলত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিভাগে পদায়ন করার জন্য জারি করা হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন করে বাদ পড়া ২৬৭ জনের কারো নাম নেই।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে যেসব কর্মকর্তাদের নাম ও মেধাক্রম উল্লেখ করা হয়েছে, তা ৩০ ডিসেম্বরের নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে এবং উভয় তালিকায় একই নাম রয়েছে। এতে স্পষ্ট হয় যে, বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাদ পড়া ২৬৭ জনের মধ্যে যারা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ছিলেন, তারা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনের ক্ষেত্রে কোনো পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার মতে, ‘৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২৬৭ জনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যেসব প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনা করা হবে, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বর্তমানে ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগপ্রাপ্তদের বিভাগীয় পদায়ন নিয়ে কাজ চলছে।’

গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, সরকারি প্রজ্ঞাপনগুলো যাচাই করে সঠিক তথ্য প্রচার করা জরুরি। বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগেই এমন তথ্য প্রচার করা অনভিপ্রেত।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের