পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহৎ সংলাপে বসা জরুরি। সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ঐকমত্যের দিকে এগিয়ে যাবে– এটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।
গতকাল রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘নতুন বাংলাদেশ গঠন: সংস্কার ও পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও যোগ দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
মাহফুজ আলম বলেন, পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে ঐকমত্য জাতীয় ঐক্যের জায়গা থেকে হয়; সরকার অদল-বদলের ভিত্তিতে নয়। বাস্তবতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করে এবং আমরা যেন বাংলাদেশকে পুরো দুনিয়ার কাছে একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি।
আওয়ামী লীগ আমলের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার হঠকারিতার পরিচয় দিয়েছিল। তারা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছিল। আমরা চাই, কোনো দলের হয়ে নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করুক। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এখন এটাই।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’– এটির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই সবার সঙ্গে বাস্তবধর্মী সম্পর্ক, সব দেশের সঙ্গে। এখানে রোমাঞ্চ বা হঠকারিতার জায়গা নেই।
শেখ হাসিনার ফেরত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না। এ ব্যাপারে আমাদের বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা– এগুলো আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কীভাবে দেশের শক্তি বাড়াতে পারি, সেদিকে মনোযোগ দিতে চাই।
উপদেষ্টা বলেন, কোন রাষ্ট্র কী করল, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং সেখান থেকে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো। সক্ষমতা বাড়াতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে। আর এটা আমাদের জনগণকে উপকৃত করবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম