‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, এটা একটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ। এটাতে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আজ রবিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের কাছে স্পষ্ট বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রাইম সিন সংরক্ষণে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় গঠন করা কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আগামীকাল সোমবার জমা দেবে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিনদিনের সময় দেওয়া আছে প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। কালকে কিছুটা জানতে পারব ঘটনাটি।’
আজ দুপুর ১২টায় রাজধানী ঢাকার বাংলামোটর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে।
ঘোষণাপত্রে পরবর্তী বাংলাদেশের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, অভিপ্রায়, লক্ষ্য ও ইশতেহার সেখানে লিপিবদ্ধ থাকবে। ঘোষণাপত্রে বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচিত হবে। আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।