পাঠ্য বই ছাপতে প্রেস মালিকদের সময় বেঁধে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের সব বই এবং মাধ্যমিকের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই ছেপে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের আরো পাঁচটি বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে বাকি সব বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি মো. রাব্বানী জব্বার এবং সাধারণ সম্পাদক কাউসারুজ্জামান রুবেলের উপস্থিতিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সময় বেঁধে দেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
এর আগে গতকাল রবিবার শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে লিখিত আবেদনে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জুনায়েদুল্লাহ আল মাহফুজ দাবি করেন, সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
লিখিত এই আবেদনের প্রতিবাদে এনসিটিবি তাৎক্ষণিকভাবে প্রেস মালিক সমিতিকে ডেকে বই পৌঁছানোর সময় বেঁধে দেয়।
এনিসিটিবির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর প্রেস মালিকদের একজন সদস্য যে আবেদন জমা দিয়েছেন, এটা কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয়। আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্য অংশীদারদের সমন্বয়ে তদন্ত করেছি—পাঠ্য বই পৌঁছাতে চুক্তি হওয়া সময়ের বেশি লাগবে না। তারা এখন শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জুনায়েদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘আমি লিখিত আবেদনের জন্য ক্ষমা চাই। কয়েকজন প্রেস মালিকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি এ ধরনের আবেদন জমা দিই।’ এ সময় সমিতির সভাপতি মো. রাব্বানী জব্বার বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদনের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না।
বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এনসিটিবির সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে কাজ করছি।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম