সোমবার,

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,

৯ পৌষ ১৪৩১

সোমবার,

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,

৯ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৮:০১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

Google News
আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আস্থার পাশাপাশি বোঝাপড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। তিনি বলেন, জাপানের অবাধ ও মুক্ত ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিকল্পনার জন্য বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে কানেক্টিভিটি জরুরি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণই হচ্ছে বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় যুক্ত করার জন্য।

গতকাল রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘রিকানেক্টিং দ্য বে অব বেঙ্গল রিজিয়ন : এক্সপ্লোরিং দ্য কনভারজেন্স অব ইন্টারেস্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসব কথা বলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

বিআইআইএসএস ও ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিকস (আইডিই-জেট্রো) আয়োজিত সেমিনারে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গোপসাগর এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সংযোগের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী গত বছর দিল্লি সফর করেন। তাঁর সফরের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের কানেক্টিভিটি ও অর্থনীতির উন্নয়ন।
কানেক্টিভিটি প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, জাপান বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ–ভারত পরস্পরের বন্ধু। অভিন্ন বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে দু’দেশের সম্পর্ক স্থাপন জরুরি, যাতে আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি তৈরি করা যায়।

সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, বঙ্গোপসাগর এ অঞ্চলের সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু। এটিকে সহযোগিতার কেন্দ্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এটি যেন দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি না করে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চল অর্থনীতি ও ভূকৌশলগত কারণে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর এলাকায় বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে।

বঙ্গোপসাগরের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মিয়ানমারসহ সমুদ্র উপকূলীয় রাজ্যগুলোয় শান্তি ও সম্প্রীতি অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তৌহিদ হোসেন। উপদেষ্টা জানান, গত সাত বছরে চরম নৃশংসতার শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা মিয়ানমার ও আঞ্চলিক শক্তির দায়িত্ব।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের