একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার গুরুতর অসুস্থ। রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। বুধবার বিকেল চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশন রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার সন্ধ্যায় সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের বড় বোনের মেয়ে অভিনেত্রী শম্পা রেজা।
তিনি জানান, পাপিয়া সারোয়ারের শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার উপর। শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) আইসিইউ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। এর আগে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেওয়া হয়েছিল।
দেশের স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। পাপিয়া সারোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন। পাপিয়া ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্র গানের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন। আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।