মাংস আমদানি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেছেন, বহু বিদেশি সংস্থা আমাদের কম দামে মাংস আমদানির প্রস্তাব দেয়। তাদের এই প্রস্তাবের কারণে সরকারও অনেক সময় চাপে পড়ে যায়।
রোববার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে সদ্য সমাপ্ত গবেষণা সমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশেই মাংস উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কেবল কুরবানি কেন্দ্রিক মাংসের বাজার বিবেচনা না করে সারা বছর কী পরিমাণ মাংসের চাহিদা থাকে তা বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। মাংসের দাম কেনো বাড়ে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে বিএলআরআইকে। দেশীয় জাতসমূহের উন্নয়নের মাধ্যমে বিএলআরআইকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিএলআরআই) দেশীয় প্রজাতিসমূহের একটি জিন ব্যাংক উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেন, বিদেশি জাতসমূহের অভিযোজনের পাশাপাশি দেশীয় জাতসমূহ সংরক্ষণেও বিএলআরআইকে ভূমিকা রাখতে হবে। যেসব প্রজাতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, প্রয়োজন হলে বিএলআরআই হতে সেসব প্রাণী সংরক্ষণে রেড এ্যালার্ট জারি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের কোন এলাকায় কোন প্রজাতির প্রাণিসম্পদ বেশি পাওয়া যায়, সে সংক্রান্ত একটি ম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে বিএলআরআইকে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ অভিঘাত মোকাবিলার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যুগোপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশীয় জাতসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কতোটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সে সংক্রান্ত গবেষণা করতে হবে। পাশাপাশি মৌসুমভেদে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা এবং এর সঙ্গে প্রাণীদের উৎপাদনে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে সে সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম