আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন পেয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এই অধ্যাদেশ জারি হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলের বিচারে সুপারিশ করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল।
এদিন বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার সচিবালয়ে আসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর ১১টায় শুরু হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থাকলে ও আদালত মনে করলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই সুপারিশ করা যাবে। এমন বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
কিছু আইনগত সংস্কারকাজ করার কথা বলতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’-এ কিছু মারাত্মক বিচ্যুতির কথা দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন বলেছিল। সুশীল সমাজও বিভিন্ন সময় বলেছিল। সরকার যখন এটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নিল, তখন সরকার চেয়েছে বিচারটি যেন দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হয়। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে যেন সুবিচার সুনিশ্চিত করা হয়। এ জন্য ব্যাপক পরামর্শ করা হয়েছে। একটি অসাধারণ সংশোধনী করার জন্য চেষ্টা হয়েছে; যেটি এর বিচারের গুরুত্ব, যৌক্তিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বাড়িয়ে দেবে।
জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এটি আইনে পরিণত হবে। তারপর প্রক্রিয়াগত কারণে যত দিন লাগে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম