প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জলবায়ূ পরিবর্তন সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের নিয়ে আরো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, জলবায়ু নিয়ে তরুণদের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। কারণ তাদের নিরাপদ জীবন দেখতে চায়। আমাদের জীবন তো শেষ। আর কয়দিন বাচঁব। কিন্তু তরুণদের পুরো জীবন পড়ে আছে। তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। তাদের ছেলে মেয়েরা কি এই পরিবেশে বসবাস করতে পারবে? এমন চিন্তা তাদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করে যদি তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি, তবে হয়তো পৃথিবী রক্ষা হবে।
বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে স্থানীয় সময় বিকালে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন।
নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, জলবায়ু সমস্যা হচ্ছে একটি ঘরে আগুন দেওয়ার মত অবস্থা। এখন সেই ঘর গরীবের নাকি ধনী লোকের সেটা বিবেচ্য নয়। কারণ ঘর তো একটাই। ঘর একটাই পৃথিবী একটাই। মনে করার কোন কারণ নেই তুমি দুনিয়ার বুকে বেঁচে থাকবে, আর গরীবরা মরে যাবে। এই আগুনে সবাইকে পুড়তে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উন্নত দেশগুলো এখন বুঝতে পারছে। এক সময় এই নিয়ে যারা আন্দোলন করতো তাদের পাগল মনে করতো। তারা পাগলামি করতে করতে পলিটিক্যাল পার্টি হয়ে গেছে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জলবায়ু তহবিলে কোন পরিবর্তন আসবে কি না তা দেখার জন্য আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি কী চরিত্র নিয়ে আসেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। এর আগে আমরা তাকে ওয়ান পয়েন্ট জিরো চরিত্রে দেখেছি। ‘টু পয়েন্ট জিরোতে’ দেখিনি। তাই আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অভ্যাস পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সপ্তাহে যদি একদিন ফসিল ফুয়েল (জীবাশ্ম¦ জ্বালানি) ব্যবহার না করি, মানে এখন থেকে ছয়দিন ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করব। তারপর পাচঁদিন, এরপর চারদিন এক সময় গিয়ে শূন্য। এভাবে অগ্রসর হতে হতে থ্রি জিরো ভার্সন করতে পারলে একদিন পুরো পৃথিবী বদলে যাবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম