বৃহস্পতিবার,

১৪ নভেম্বর ২০২৪,

৩০ কার্তিক ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

১৪ নভেম্বর ২০২৪,

৩০ কার্তিক ১৪৩১

Radio Today News

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানালো সেনাবাহিনী

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:৩৪, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

Google News
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানালো সেনাবাহিনী

দেশব্যাপী চলমান অভিযানে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র ও প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সেনা সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান।

প্রেস ব্রিফিংয়ের উদ্দেশ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, এই দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ও সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে রক্ষা করার কাজ করছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা যেসব দায়িত্ব পালন করছেন, তা হলো পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় কার্যক্ষম হতে সহায়তা করা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা; বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও কারখানাগুলোকে সচল রাখতে সহায়তা করা; বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অরাজকতা ও ভাঙচুর প্রতিরোধ করা; জনগণের ভোগান্তি এড়াতে এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে মূল সড়কগুলোকে বাঁধামুক্ত রাখা; বিভিন্ন স্থান থেকে বেহাত ও লুট হওয়া অস্ত্রসহ সব অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা; সার্বিকভাবে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে, সে জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা।

অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার সম্পর্কে তিনি বলেন, অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার, বিভিন্ন অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার কার্যক্রমে সেনাবাহিনী সক্রিয় রয়েছে। যৌথ অভিযানে ৭০০ জনের বেশি মাদক ব্যবসায়ী অথবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ অন্যান্য অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে যারা আহত হয়েছেন, সেনাবাহিনী তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বলে উল্লেখ করেন সেনা কর্মকর্তা ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯৫ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের