ন্যূনতম মার্জিনে এলসি খোলার সুযোগের পর এবার ৯০ দিনের বাকিতে রোজার পণ্য আমদানির সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মশলা এবং খেঁজুর রয়েছে এ তালিকায়। সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজানে পণ্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৯০ দিনের বাকিতে ১১ পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়া হলো। বিদেশি সরবরাহকারীর কাছে ওই পর্যন্ত বাকি রাখা যাবে। এ বিষয়ে অন্যান্য নির্দেশনা বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, রমজানের পণ্য আমদানিতে বড় শিল্প গ্রুপগুলোর যেন সমস্যা না হয়, এ জন্য শিগগিরই সাময়িক সময়ের জন্য একক গ্রাহকের ঋণসীমা তুলে দেওয়া হবে। এছাড়া ন্যূনতম মার্জিনের কথা বলা হলেও শূন্য মার্জিনে আমদানির নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যুনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এলসি মার্জিন হলো কোনো পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম জমার পরিমাণ। সাধারণত কোনো পণ্যের এলসি খোলার নির্ধারিত সময় পর তা দেশে আসে। দেশের আসার পর কিছু প্রক্রিয়া শেষে অর্থ পরিশোধ করে পণ্য খালাস করতে হয়। সাধারণত এলসি খোলার সময় গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ মার্জিন নেওয়া হয়। আমদানি কঠোর করতে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্য পণ্য, ওষুধসহ কয়েকটি ছাড়া ৭৫ থেকে শতভাগ মার্জিনের বিধান করা হয়েছিল। ডলারের সরবরাহ বাড়ায় এখন কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।