বুধবার,

১৫ জানুয়ারি ২০২৫,

২ মাঘ ১৪৩১

বুধবার,

১৫ জানুয়ারি ২০২৫,

২ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তা এখন ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Google News
ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তা এখন ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’

ঢাকার গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তাকে ‘শহীদ ফেলানি সড়ক’ ঘোষণা করে নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ওই নামফলক স্থাপন করে পিপলস অ্যাক্টিভিস্ট কোয়ালিশন (প্যাক) নামে একটি সংগঠন।

জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বিকেল ৪টার দিকে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন কিছু মানুষ। সড়কটিতে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা অবস্থান নিয়ে জনগণ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্যাকের নেতাকর্মীরা নামফলক স্থাপন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত ভেঙে দাও ভেঙে দাও’ বলে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে ‘শহীদ ফেলানী সড়ক’ লেখা একটি নামফলক স্থাপন করা হয়।

নামফলক স্থাপন শেষে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে এ রাস্তার নাম শহীদ ফেলানী সড়ক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। এ রকম পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা অনেক লোক জমায়েত করতে পারতাম। ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে বড় জমায়েত করিনি। আমরা দূতাবাসের সামনেও যাইনি। নামফলক স্থাপন করে সবাই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ বাধা দিয়েছে।

ভারত থেকে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছরের ফেলানী। তার লাশ কাঁটাতারে চার ঘণ্টার বেশি সময় ঝুলে ছিল। ঝুলে থাকা ফেলানীর লাশ আলোড়ন তোলে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে। তার পর থেকে অনেকেই ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তাকে শহীদ ফেলানি সড়ক করার দাবি তোলেন। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের