বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার, অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৯ মে রাজশাহীতে মাদ্রাসা ময়দানে বলেছিলেন, আমি কী চাই? পাঁচবার বলেছিলেন, আমি কী চাই? সামগ্রিকভাবে একটি কথাই বলেছিলেন। বাংলার মানুষ খেতে পারবে, পরতে পারবে, মুক্ত হাওয়ায় বসবাস করবে, প্রাণ খুলে হাসতে পারবে। আমি কি হাসতে পারি এখন! বাজারে গেলে বাজার করতে পারি না কেন? আমিতো মোটামুটি মধ্যবিত্ত, সামাজিক পরিচিতি আমার আছে। আমি ওষুধ কিনতে পারি না কেন? ওষুধের দাম কত ভাগ বেড়েছে? বাড়বেই?
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন- যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আসার পর আমাদের অনেক কিছু হয়েছে, আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। দেশ বিশ্বের দরবারে উন্নত মর্যাদার দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু তার প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির সমীকরণ এখনো এক হয়নি। তিনি আরও চান। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে, এটি অনস্বীকার্য। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো উন্নয়ন হয়নি কারণ বৈষম্য রেখে উন্নয়ন হয় না। সাম্প্রতিক বাজেটে অর্থাৎ আমলাতান্ত্রিক বাজেটে বৈষম্য কমানোর কোন উদ্যোগ নেই। গতকাল এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বললেন, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতি বারবার পাল্টানোর ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেন?
এই অধ্যাপক বলেন, আমি সপ্তাহে ৫ দিন আমার অফিসে যাই। মিরপুর ১২ নম্বরে সেনানিবাসে। যে পথ দিয়ে আমি যাই, মাটিকাটা- সেখানে গেলে আপনারা দেখবেন হারুণ মোল্লা উড়াল সড়ক। আবার নিচ দিয়ে পথও আছে। দুটো কার (প্রাইভেট কার) একই সঙ্গে ছেড়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, নিচ দিয়ে যদি আমি যাই, আড়াই মিনিট কম সময় লাগে। উপর দিয়ে গেলে আড়াই মিনিট সময় বেশি লাগে। এই অর্থ জনগণের অর্থ, কেন খরচ করা হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার হাতেই প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হয়েছে। আপনি উত্তর দিন।
এমএমএইচ/রেডিওটুডে