
কবীর সুমন
শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন।
সোমবার ভোরে তাকে কলকাতার শেঠ সুখলাল কর্ণনী মেমোরিয়াল হাসপাতালে (এসএসকেএম) ভর্তি করা হয়।
সেই সময় কবীর সুমনের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯০, যে কারণে তাকে কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। অন্য ওষুধও চলছে, স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ সুমনের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন।
সুমনের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও এখনও রিপোর্ট আসেনি। এ ছাড়া সুমনের বুকের এক্স-রে, স্ক্যান ও রক্তপরীক্ষা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
তার উন্নত চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে খুব দ্রুত চিকিৎসকরা জানাবেন।
অন্যদিকে সুমনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক শেষে এসএসকেএম-এ যান তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি সুমনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বর্ষীয়ান এ শিল্পীর অসুস্থতার খবরে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তার ভক্ত ও অনুরাগীরা। জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই জ্বর ছিল তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমনের। সঙ্গে রয়েছে সর্দি ও মারাত্মক গলায় ব্যথার সমস্যা। খেতে, ঢোঁক গিলতে সমস্যা বোধ করছিলেন। রবিবার রাতে আচমকা শ্বাসের প্রবল সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে কবীর সুমনের।
কবীর সুমন ১৯৯২ সালে তার তোমাকে চাই অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তার স্বরচিত গানের অ্যালবামের সংখ্যা ১৫টি। সঙ্গীত রচনা, সুরারোপ, সংগীতায়োজন ও কণ্ঠদানের পাশাপাশি তিনি বেতার সাংবাদিকতা, গদ্যরচনা ও অভিনয়ের ক্ষেত্রেও স্বকীয় প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন।
১৯৪৯ সালে জন্ম নেয়া কবীর সুমনের পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি তার নাম পরিবর্তন করেন। বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন তার বর্তমান সহধর্মিনী।