পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা খুব স্বাভাবিক বিষয়। এটা বেশ অস্বস্তিকরও। অনেক সময় দেখা যায় ঘুম থেকে উঠেই পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরে। আবার কখনো দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে থাকলে এই সমস্যায় ভুগতে হয়। মূলত যখন একটানা অনেক সময় একইভাবে বসে থাকা হয় তখন শিরায় রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
স্নায়ুতে চাপ পড়ার কারণেও সাময়িক অসাড়তার পাশাপাশি এমন অনুভূতি হয়, যেন অসংখ্য সুঁই একসঙ্গে পায়ে খোঁচা দিচ্ছে। ঝিঁঝিঁ ধরলে তার কিছু সমাধান উঠে এসেছে মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনে। ঝিঁঝিঁ ধরলে তা ছাড়াতে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে বলছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে কিছু কৌশল মানলেই ঝিঁঝিঁ ধরার সমাধান সম্ভব। এগুলো হলো:-
১. মূলত রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলেই হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরে। এমনটা হলে এক জায়গায় বসে ঘাড় ও মাথার ব্যায়াম করুন। মাথা এক দিক থেকে অন্য দিকে ঘোরান, ঘাড় সঞ্চালন করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হবে। তাহলে ঝিঁঝির সমস্যাও দূর হবে।
২.ঝিঁঝিঁ ধরলে পায়ের বুড়ো আঙুল চেপে ধরতে পারেন। কিছুক্ষণ ধরে থাকলে ধীরে ধীরে ঝিঁঝিঁ ধরা ভাব কমে যাবে।
৩. ঝিঁঝিঁ ধরলে ধীরে ধীরে হাঁটার চেষ্টা করুন। পেশির সঙ্কোচনের কারণেই সাধারণত পায়ে ঝিঁঝি ধরে। কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলেই এ সমস্যা কমবে।
ঝিঁঝিঁ ধরা কীসের সংকেত:সাধারণত, পায়ে ঝিনঝিন হওয়া বড় কোনো সমস্যার লক্ষণ নয়। তবে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। নিচে পায়ে ঝিনঝিন হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এবং তাদের প্রতিকারের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।দীর্ঘস্থায়ী রোগসমূহ, যা পায়ে ঝিনঝিন সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো হলো:
ডায়াবেটিস
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
হাইপোথাইরয়েডিজম
টারসাল টানেল সিনড্রোম
কিডনির সমস্যা
গর্ভাবস্থা
ভিটামিনের ঘাটতি
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নার্ভ চেপে যাওয়া
টক্সিনের সংস্পর্শে আসা
হাইপারভেন্টিলেশন
খুব বেশি ঝিঁঝিঁ ধরলে করণীয়
কারও যদি ঘন ঘন ঝিঁঝিঁ ধরার সমস্যা হয় তাহলে নিয়মিত পায়ে গরম তেল মালিশ করতে পারেন।
নিয়ম করে যোগব্যায়াম করলেও এ সমস্যায় উপকার পাবেন।
অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ঘুমের বিষয় সতর্ক হোন।
খুব চাপা জুতা পরবেন না। তাহলেও সমস্যা বাড়বে। বুঝে শুনে জুতা কিনুন।
গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। অতিরিক্ত গরমে বাইরে বেরোনোর আগে সতর্ক হোন।
এ ধরনের সমস্যা যেন না হয়, সে জন্য ধূমপান বর্জন করুন, সবুজ (ব্রকলি, পালংশাক) সবজি খান। এ ছাড়া ধুন্দুল, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডোতে প্রচুর ভিটামিন বি থাকে। এছাড়া ভিটামিন সি–এর জন্য টক ফল, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ–যুক্ত খাবার খেতে হবে।
