বিভিন্ন সময় সরিষার তেলের বহু উপকারির কথা বলা হয়। শরীরে দেয়া থেকে শুরু করে রকমারি খাবারের পদে ব্যবহার হয় সরিষার তেল। খাবারে ব্যবহারে অবশ্য স্বাদই পাল্টে যায়। শরীরে ভিটামিন ই-এর চাহিদা পূরণে সরিষার তেল খাওয়া উচিত।
ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আর প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে ছোট ছোট যেকোনো অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে পারে শরীর। এ কারণে অনেকেই আজকাল নন-রিফাইন্ড সরিষার তেল ব্যবহার করেন।
এছাড়া নন-রিফাইন্ড তেল ব্যবহারে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ঘানি থেকে আনা দূষণ ও ভেজালমুক্ত সরিষার তেল বাড়ির ছোট শিশুদের ত্বকে মালিশের রীতি রয়েছে অনেক অঞ্চলে। এর পেছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। কেননা, এ তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ ছোটদের শরীর ভালো রাখে এবং পেশির শক্তি বাড়ায়। নন-রিফাইন্ড সরিষার তেল নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শপ্রদানকারী ওয়েবসাইট ফেমিনার সঙ্গে কথা বলেছেন ইয়ানা ডায়েট ক্লিনিকের প্রধান পুষ্টিবিদ শম্পা ব্যানার্জি।
নন-রিফাইন্ড সরিষার তেল কী: এ তেলের গুণাগুণ অনেক বেশি। যেকোনো নন-রিফাইন্ড তেল কোল্ড প্রেসড প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। বীজ থেকে তেল বের করার সময় তাতে কোনো ধরনের তাপ প্রয়োগ করা হয় না। এতে ওই তেলে সব ধরনের গুণাগুণ বজায় থাকে। ফলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রাও কম থাকে। এ কারণে নন-রিফাইন্ড সরিষার তেলে ভিটামিন ই তো থাকেই, একইসঙ্গে ওমেগা থ্রি ও সিক্স, দুটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডও থাকে।
নন-রিফাইন্ড সরিষার তেলের উপকারিতা: বাঙালি রান্নার সময় সরিষার তেল ব্যবহারে এর ঝাঁঝালো ফ্লেভার খুব পছন্দ করেন। এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এ তেলের স্মোকিং পয়েন্ট বেশি। এই তেলে ডিপ ফ্রাই করা যায়, আবার রান্নার ওপর কাঁচা তেল ছড়িয়ে দিলেও স্বাদ বাড়ে।
পুষ্টিবিদ শম্পা ব্যানার্জি বলেন, সরিষার তেল ব্যবহারে লিভার ও প্লীহা ভালো থাকে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এই তেলের লিনোলেয়িক ও ওলেয়িক অ্যাসিড আপনার ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ কমায়। এ জন্য পেটের অসুখ বা হজমজনিত সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা উচিত। হার্টের বা ডায়াবেটিস রোগীও স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল।