বৃহস্পতিবার,

২৩ জানুয়ারি ২০২৫,

৯ মাঘ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৩ জানুয়ারি ২০২৫,

৯ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

সত্যি কি ওটস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
সত্যি কি ওটস খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে

ওটস একটি স্বাস্থ্যসম্মত শস্যজাতীয় খাবার। বর্তমানে এ খাবারটির জনপ্রিয়তা অনেক। সাধারণত সকালের নাস্তায় ওটস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ঝটপট নাশতা হিসেবে অনেকেই সকালের নাশতায় এটি বেছে নেন। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই প্রতিদিন ওটস খান। বিশেষ করে সকালের নাশতায় ওটস রাখে। পুষ্টিবিদরাও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ওটস খেতে পরামর্শ দেন। তবে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ নয়, এই খাবারে রয়েছে একাধিক উপকারিতা।

পুষ্টিবিদদের মতে ওটস শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। হেলথ লাইনের এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ জানান, ওটস পুষ্টিগুণে ভরপুর ও ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যাভিন্যানথ্রামাইড ইত্যাদিসহ অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ওটস ভাতের বিকল্প হিসেবে সকাল, দুপুর অথবা রাতের প্রধান খাবার হতে পারে। প্রতিবেদনটিতে ওটসের নানা উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন পুষ্টিবিদ। সেই সঙ্গে ওটস খেলে কী হয়, সে বিষয়ও উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওটস উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে ক্ষুধাভাব কমায়। এটি শর্করাজাতীয় খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানের প্রভাবে পাকস্থলীতে পেপটাইড ওয়াইওয়াই নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমায়। আর সারাদিনে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কম হলে ওজন কমানোও সহজ হয়।

হার্টের জন্য ওটস: ওটসে থাকা তন্তু জাতীয় উপাদান বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ওটস একটি উপকারী খাবার। এটি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় ধীরে ধীরে হজম হয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমায় এবং লো ক্যালোরি ও সুগার ফ্রি হওয়ায় রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ফাইবারে ভরপুর ওটস। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের ওটস খেতে বলা হয়। ওটসের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন কলা, আপেল, খেজুর, ব্ল্যাকবেরি, বাদাম ইত্যাদি যোগ করে খেলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ওটস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ওটসের উপাদান অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টির যোগান দিয়ে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এজন্য ওটসকে প্রিবায়োটিক খাবার বলা হয়।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের