নতুন জুতা পায়ে দিলে অনেক সময় পায়ে ফোসকা পড়ে যায়। আবার পায়ের আঙুলে ব্যথা অনুভব হয়। আরও নানারকম অসুবিধা তৈরি হয়। অনেকেই পছন্দের জুতা মাপমতো না পেলে এক সাইজ ছোট জুতাও ব্যবহার করেন। এটা ঠিক নয়। জুতা কেনার প্রথম শর্ত হওয়া উচিত সঠিক মাপের জুতা। আর তা না পেলে অন্য জুতা পরবেন। এ ছাড়া নতুন জুতা পরে দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। অল্প কয়েক দিন ব্যবহারের পর তা পায়ের সঙ্গে খাপ খেয়ে যাবে, তখন জুতা পরে নিয়মিত হাঁটতে পারবেন।
জুতা পরার আগের রাতে কোনও ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল পুরো জুতায় ভালো করে মাখিয়ে রাখুন। সারা রাত রেখে দিন। সকালে কাপড় দিয়ে তা মুছে জুতা পরে নিন। জুতা পরার সময় পায়েও মেখে নিন ময়েশ্চারাইজার। এতে ফোস্কার ঝুঁকি কমে। জুতার নির্দিষ্ট কিছু অংশের চামড়া মোটা থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ওই অংশগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে জুতার চামড়া নরম হবে।
এরপরেও যদি ফোস্কা পড়ে তাহলে কী করবেন?
ফোস্কা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা করবেন না। ফোস্কার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এড লাগান।
ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে দিনে দুই থেকে তিনবার মধু ও অ্যালোভেরা জেল লাগান। এই দুই উপাদান ফোস্কার ক্ষত শুকোতে সাহায্য করে।
ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করলেও আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া ফোস্কা থেকে রেহাই পেতে বরফ ব্যবহার করতে পারেন।
ফোস্কা থেকে মুক্তি দিতে নারকেল তেল ভালো দাওয়াই হতে পারে। নতুন জুতা পরার আগে নারকেল তেল মালিশ করতে পারেন। পায়ে তেলের পরত থাকলে সহজে ফোস্কা পরবে না।
সামান্য পানির সঙ্গে আটা গুলে তা ফোস্কার উপর লাগাতে পারেন। এতেও ফোস্কার ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকায়। তবে বেশি ক্ষত তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম