কাতার
২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক কাতার। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাতারে। খেলা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন এলাকার ফুটবলপ্রেমীরা জড়ো হচ্ছেন সেখানে। তবে যেখান থেকেই ফুটবলপ্রেমীরা আসুক না কেন খেলা দেখতে সেখানে গিয়ে কিছু নিয়মকানুন সকলকে মেনে চলতে হয়। না হলে গুনতে হয় জরিমানা।
চলুন তাহলে জেনে আসা যাক কাতারে গিয়ে কোন কোন কাজগুলো করা আইনত নিষিদ্ধ :
১. কাতারে অপরাধী হিসেবে একটি বিষয়কে গণ্য করা হয় আর তা হল মদ পান করা এবং জনসমক্ষে মাতাল হওয়া। এ কারণকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পর্যটকদের অতীতে কাতারে গ্রেপ্তার করা হয়। তাই সেখানে গিয়ে কোন ফুটবল প্রেমিক কিংবা কোন বাইরের দেশে থেকে আগত মানুষেরা যদি এই মধ্যপান করে থাকে তবে সেখানে ছয় মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৩০০০ কাতারি রিয়েল জরিমানা করা হতে পারে।
২. কাতারে গিয়ে কেউ যদি জনসমক্ষে বা লোক সমাজে অশ্লীল কথা ও গালাগালি করে তবে তা আপত্তিজনক আচরণের মধ্যে পড়ে। যা মূলত সেখানকার আইনতভাবে অপরাধ। এরূপ আপত্তিজনক আচরণের কারণে অপরাধীকে জেলে পাঠানো পর্যন্ত হয়।
৩. এছাড়াও সেখানে রয়েছে পোশাক পরিধান নিয়েও কিছু নিয়ম কানুন। নারীদের কাঁধ ঢেকে রাখতে হবে ও ছোট স্কার্ট পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে, এমনই কিছু নিয়ম রয়েছে সেখানে। তাই কাতারে গিয়ে এসব আইন কানুন ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সবারই বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত। না হলে বিপদে পড়তে পারেন।
৪. এছাড়াও সেখানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো একটি অবৈধ ও অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন কোন সম্পর্কে জড়ালে সেখানে যেতে হতে পারে জেলখানাতে।
৫. কাতারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয় মাদকদ্রব্যের ব্যবহারের বিষয়। কাতারে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হতে পারে যদি কেউ মাদক পাচার, মাদকদ্রব্য সঙ্গে রাখা কিংবা চোরা চালান ইত্যাদি অসৎ কার্যের সঙ্গে জড়িত থাকে।
৬. এছাড়াও কাতারে রয়েছে নির্দিষ্ট পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নিয়ম-কানুন বা নিয়ম নীতি। কাতারে অ্যালকোহল,পর্নোগ্রাফি,ধর্মীয় বই, শূকরের মাংস, মাদক, ইত্যাদি আমদানি করা পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ বা অবৈধ। এজন্য সেখানে রয়েছে বিশেষ আইনতব্য ব্যবস্থা যা এয়ারপোর্ট থেকে সবার লাগেজ স্ক্যান করার মাধ্যমে বোঝা যায়।
এস আর