
শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলসহ সংশ্লিষ্ট সব আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন জানান, দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে না পারাতেই টিউলিপ সিদ্দিককে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। আর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে সস্ত্রীক মামলা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যানসহ কমিশনের সদস্যরা। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরও জানান, দুর্নীতি মামলার যেসব আসামি দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন তাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের প্রতি দুদক সহানুভূতিশীল নয় বলেও জানান চেয়ারম্যান।
গত ৫-আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতের পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং দেশে গড়ে তোলা শেখ পরিবারের অঢেল সম্পদের হিসাব সামনে আনে দুদক। মামলাও করে। শেখ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেরত পেতে মরিয়া দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শেখ পরিবারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী এবং আমলাদের বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরাতে কাজ করছে সংস্থাটি।
সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকীকে তার দুর্নীতির বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে এমনটা দাবি করেছে দুদক। বাংলাদেশের আদালতে হাজির হয়ে মামলা মোকাবিলা করার আহ্বান জানান সংস্থাটির প্রধান।
এ দিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দম্পতির বিরুদ্ধে ৬৫ ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন আর অবৈধ সম্পদের অর্জনের অপরাধে মামলা করে দুদক।