সোমবার,

৩১ মার্চ ২০২৫,

১৭ চৈত্র ১৪৩১

সোমবার,

৩১ মার্চ ২০২৫,

১৭ চৈত্র ১৪৩১

Radio Today News

সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, গভীর জঙ্গলে নিচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ২৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১০:৩৯, ২৮ মার্চ ২০২৫

Google News
সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, গভীর জঙ্গলে নিচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ

মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে এবার সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। ২০১৭ সালে বার্মিজ সেনাবাহিনীর অত্যাচার আর নির্মম গণহত্যা সইতে না পেরে রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হন তারা। এবার তারা আবার দেশে ফিরতে গভীর জঙ্গলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে মোহাম্মদ আয়াস নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের বরাতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারির এক ভোরে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির থেকে বেরিয়ে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করেন। ২০১৭ সালে তিনি যে স্থান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন, সেখানে এবার ফিরে গেছেন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিতে এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে—যারা তার সম্প্রদায়ের রক্তাক্ত নির্বাসনের জন্য দায়ী।

২৫ বছর বয়সী আয়াস রোহিঙ্গা শিবিরে শিশুদের বার্মিজ ভাষা শেখান। তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, তিনি এবং হাজারো রোহিঙ্গা এখন একত্রিত হয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের ‘মাতৃভূমি ফিরে পাওয়ার’ পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমার সম্প্রদায়ের জন্য আমি মরতেও রাজি আছি। মাতৃভূমি, আমাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা ফিরে পেতে এই লড়াইয়ে আমার কী হবে, তা নিয়ে আমি ভাবি না।

শরণার্থী ও সহায়তা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াসের মতো শত শত রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সশস্ত্র গ্রুপে যোগ দিচ্ছেন। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত নিপীড়িত মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি, যারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন।

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট কক্সবাজার শিবিরের এক কমান্ডারের সঙ্গেও কথা বলেছে। তিনি জানান, রোহিঙ্গারা সপ্তাহ বা মাসের জন্য গোপনে মিয়ানমারে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তারা সামরিক জান্তা এবং তাদের বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ দিকে রোহিঙ্গা গ্রুপগুলোর দাবি, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে উভয় পক্ষই তাদের গণহত্যা ও জোরপূর্বক সেনাদলে ভর্তি করছে। এক রোহিঙ্গা যোদ্ধা বলেন, অং সান সু চি যদি ক্ষমতায় ফিরেন, পরিস্থিতি বদলাতে পারে—তবে তারা আর অপেক্ষা করতে রাজি নন।

আয়াস জানান, তিনি ছয় মাস জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারা প্রতিদিন তাঁবু বদলিয়ে সেনাবাহিনীর চোখ এড়াতেন। ভোর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হতো। গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কেউ অস্ত্রচালনা, মার্শাল আর্ট শিখতেন, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগ, গোয়েন্দা কার্যক্রম বা শত্রুর গতিবিধি ট্র্যাক করায় প্রশিক্ষণ নিতেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের