
বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার আইনের সংশোধন চায় পুরুষ অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’। নারী-পুরুষ উভয়কে এ আইনে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ডি এম সরকার বলেন, বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক শুধু পুরুষের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ এটা ন্যায়বিচার পরিপন্থি। বাস্তবে নারী নির্যাতনের ২ শতাংশ মামলার রায় হয়। বাকি ৯৮ শতাংশ প্রমাণই হয় না।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে আর এ ক্ষেত্রে তার পুরুষ সঙ্গীটির ৭ বছর পর্যন্ত জেল হবে, এ রকম বিধানে কীভাবে আইন প্রণেতারা সম্মতি দিয়েছেন তা বোধগম্য নয়। এখানে একজন নারীকে নির্বোধ পুতুল হিসেবে বোঝানো হচ্ছে! যিনি কোনো পুরুষের আশ্বাসে পড়ে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু একপক্ষকে শাস্তি দেওয়া ন্যায়বিচার পরিপন্থি। আমরা মনে করি এ ধরনের সম্পর্কে নারী-পুরুষ দুজনের সমান শাস্তির বিধান করা হোক।
এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, অনেক প্রণয়ের সম্পর্ক নারীরাও ভেঙে দেয়। একজন নারী যদি প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভেঙে অন্য কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন, তবে তার পুরুষ সঙ্গীটি কি পারবেন আইনের দ্বারস্থ হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ কিংবা অন্য কোনো মামলা করতে? উত্তর হচ্ছে- ‘না’। তবে, এমন ধরনের বৈষম্যমূলক আইন কীভাবে যৌক্তিক?
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম