সোমবার,

৩১ মার্চ ২০২৫,

১৬ চৈত্র ১৪৩১

সোমবার,

৩১ মার্চ ২০২৫,

১৬ চৈত্র ১৪৩১

Radio Today News

কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা: ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৫ মার্চ ২০২৫

Google News
কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা: ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে মারিয়া নামে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন-কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)।

এ ছাড়া রায়ে গণধর্ষণের পর হত্যার পর লাশ গুমের জন্য প্রত্যেকের সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

এদিকে রায়ে আসামি আলী আকবর (২২) এবং মো. রিয়াজের (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রায় ঘোষণার সময় কারাগারে আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আঁটিবাজার এলাকায় পুলিশ চলছিল। টহল ডিউটি চলাকালে সকাল পৌনে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পায়, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজন মহিলার লাশ ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করে। ভিকটিমের বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানায়, এটা তার বান্ধবী মারিয়ার লাশ। পরে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে। 

শাওন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। সেখানে জানায়, তিনিসহ মো. রাকিব, মো. সজিব, মো.আলী আকবর মিলে ভিকটিম মারিয়াকে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখেন। পরে রাকিব ও সজিব গ্রেপ্তার হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।পরে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের