
জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে হিমালয়ের বরফ গলার ভয়াবহ প্রবণতা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ইউনেস্কোর প্রকাশিত ‘জাতিসংঘের বিশ্ব পানি প্রতিবেদন-২০২৫’ অনুযায়ী, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে হিমবাহ ৫% থেকে ২১% পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বন নিঃসরণ কমানো না গেলে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলো ভয়াবহ পরিবেশগত সংকটে পড়বে। বর্ষায় রেকর্ড বন্যার পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার মতো নদীগুলোতে ভয়াবহ পানি সংকট দেখা দেবে, যা কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ৫০ বছরে সিন্ধু অববাহিকায় বন্যার প্রবাহ ৫১%, ব্রহ্মপুত্রে ৮০% এবং গঙ্গায় ১০৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। হিমবাহ গলা পানি নির্ভরশীল নদীগুলোর প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় জ্বালানি, কৃষি ও পানির নিরাপত্তা সংকটে পড়বে।
বিশ্বের দুই শত কোটি মানুষ পাহাড়ি পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমবাহগুলো দ্রুত গলছে, যা হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণের (GLOF) ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। ২১০০ সালের মধ্যে হাই মাউন্টেন এশিয়ায় এই ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা তিনগুণ বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এই সংকট আরও তীব্র হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।