ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। শাহবাগ থানা পুলিশ সম্প্রতি এই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন ছাত্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি, ছয়জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ছয় ছাত্র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্র মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।
মামলার তথ্য অনুসারে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে হলের আবাসিক ছাত্রদের ছয়টি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়। রাতে তোফাজ্জল হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং কিছু শিক্ষার্থী তাকে চোর সন্দেহে আটক করে। এরপর তাকে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে গিয়ে স্টাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। রাতে খাবার খাওয়ার পর পুনরায় তাকে মারধর করা হয়। মোট ২১ জন শিক্ষার্থী তিন ধাপে তোফাজ্জলকে মারধরে অংশ নেন।
রাত ১২টার দিকে আবাসিক শিক্ষকরা তোফাজ্জলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে এবং শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে, ২৫ সেপ্টেম্বর তোফাজ্জলের বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে ১৪ শিক্ষার্থীকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা পরবর্তীতে একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম