দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থ কেলেঙ্কারির পর এবার পূর্বাচলে অবৈধভাবে প্লট দখলের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোটবোন শেখ রেহানা, ছোটবোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং বোনের মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীর নামে পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোনে দশ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠা প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
জানা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নিজ নামে, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং ছোট বোনের মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীর নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ (দশ) কাঠা করে মোট ৬০ (ষাট) কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওইদিন ওই আট প্রকল্পের তথ্য চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় দুদক।
এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।