বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) তিন জনকে জামিন দিয়েছেন কলকাতার একটি আদালত। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ১০ লাখ রুপি বন্ডের বিনিময়ে তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
পি কে হালদারের সঙ্গে জামিন পেয়েছেন স্বপন মিস্ত্রি এবং উত্তম মিস্ত্রি।
তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছে, মামলা চলাকালীন নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আগামী ৯ জানুয়ারি আদালতে তাদের হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে পি কে হালদারের যে দণ্ডাদেশ, তার কোনো নথি যেহেতু জমা দেওয়া যায়নি, তাই পি কে হালদারকে জামিন দিয়েছেন বিচারক।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন পি কে হালদারের ভাই প্রানেশ হালাদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও ইমন হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সব প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ। অর্থাৎ অভিযুক্ত হালদারদের বাকি তিন জনের জেল থেকে বের হতে সময় লাগবে সাত দিনের মতো।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে দেশটিতেই বন্দি হালদাররা। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।
পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে রাখা হয়েছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।