আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্তহত্যার বিচার না হলে রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে ছাত্র জনতা আমরণ অনশন কর্মসূচি করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।
আজ (বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বিপ্লবীদের নিরাপত্তায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
কে বা কারা হত্যা করছে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের? কখনও কুপিয়ে কখনও ছুরিকাঘাতে। আবার কখনও মেরে ফেলে যাচ্ছে রাস্তার পাশে। এসব প্রশ্নের উত্তর নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর না পেলে রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। ৫ শিক্ষার্থী হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে আরো কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। আরিফ হোসেন
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চলতি মাসের ১২ তারিখ ভোর ৫টার দিকে শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে ১৪ তারিখে নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান এআইইউবির ছাত্র সীমান্ত। মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ লেক থেকে সুজানা নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া পৃথকভাবে হত্যা করা হয় আরো দুই শিক্ষার্থীকে।
এরপরই গুপ্তহত্যার বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রশ্ন ওঠে কারা খুঁজে খুঁজে হত্যা করছে গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা এসব শিক্ষার্থীদের? ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠন সোচ্চার হয় গুপ্তহত্যার বিচার দাবিতে।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকে ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় অভিযোগ করা হয়, বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা টার্গেট কিলিং এর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রের। জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হলে সে দায় সকল রাজনৈতিক দলের বলেও মন্তব্য করেন এই ছাত্র নেতা।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে টার্গেট করার একমাত্র কারণ, ঢাবি, জগন্নাথ বা জাহাঙ্গীরনগর মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল রয়েছে, যদি তারা এখানে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে তাহলে সম্মিলিত প্রতিরোধ শুরু হবে। যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল নাই আর শিক্ষার্থীরা সারা ঢাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। তাই তাদের টার্গেট কিলিং করলে একসঙ্গে কোনো আন্দোলন করবে না।’