বৃহস্পতিবার,

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,

২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,

২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

Radio Today News

গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পলাতক ৭০০ বন্দি এখনও অধরা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

Google News
গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পলাতক ৭০০ বন্দি এখনও অধরা

গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পলাতক ২২ শতাধিক আসামিদের মধ্যে ১৫শর মতো গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও সাত শতাধিক আসামি অধরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন। পলাতকদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ দণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ ৭০ আসামি রয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরের বর্তমান কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগার থেকে এখন পর্যন্ত আলোচিত ১৭৪ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীও মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের। আমরা আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এরমধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে। এগুলো অতিদ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

তিনি আরো বলেন, গত ৩ মাসে কারাগারসমূহে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনায়নের লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কারা অভ্যন্তরের সব ধরনের তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বন্দী ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া জ্যামার, বডিক্যামসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

কারা অভ্যন্তরে মাদক দ্রব্যের প্রবেশ রোধকল্পে ঝুঁকিপূর্ণ কারাগারসমূহে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সৎ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসার এবং কারারক্ষীদের তাদের পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে কারা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন কারাগারসমূহে পদায়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সবসময় বন্দীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ নিশ্চিতের জন্য বেশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বন্দীদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য কঠোর তদারকি অব্যাহত রয়েছে। বন্দীদের দেখা সাক্ষাৎ, টেলিফোনে কথোপকথন, চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারিসহতা বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

বন্দী ব্যবস্থাপনা অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কারাগার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়্যারসহ, আর এফ আইডি এবং জিপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, এ ছাড়া সেবা প্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের