বৃহস্পতিবার,

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,

২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,

২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

Radio Today News

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়নের প্রস্তাব মমতার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:১৫, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

Google News
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়নের প্রস্তাব মমতার

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার সময় এ কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী। এসময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দেশটির সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাব দিলাম। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বিবৃতি দিন। রাষ্ট্রসংঘের নজরে আনা হোক বিষয়টি। কেন্দ্র রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন করুক, শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য। 

বিধানসভায় মমতা বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকাকে লাগাতার অসম্মান করা হচ্ছে। সেসব ছবি গত কয়েকদিন ধরে ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের মনে ক্ষোভ ও রাগ তৈরি হয়েছে। এভাবে জাতীয় পতাকার অমর্যাদা করা ঠিক হচ্ছে না। আমি ইসকনের সঙ্গেও কথা বলেছি। এটা একটা স্পর্শকাতর ব্যাপার যেটা আমাদের সবাইকে আঘাত দিচ্ছে। মানসিকভাবে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেসব ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করব না আমি। কারণ, বাংলাদেশ অন্য দেশ। এটা আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।

মমতা বলেন, ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান এভাবে মেনে নেওয়া যেতে পারে না। কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। ওই দেশে (বাংলাদেশ) কেন্দ্র সরকার প্রতিনিধি পাঠাক শান্তির বার্তা নিয়ে। তাদের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে। কেন্দ্র রাষ্ট্রসংঘের কাছে তারা আবেদন করুক, শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর জন্য।

জানা গেছে, মমতার এই প্রস্তাব আবেদন আকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠাবেন বিধানসভার স্পিকার।

মমতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী না পারলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে সংসদকে জানান। এমন ঘটনা ঘটে চললে আমাদের লোককে ফিরিয়ে আনতে চাই। একবেলা খাবো, দরকার হলে একটা রুটি ভাগ করে খাবো। আমাদের লোক অত্যাচারিত হোক চাই না।

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে এ রাজ্যের প্রায় ৭৯ জন মৎস্যজীবী ভুল করে ঢুকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। তাদের বাংলাদেশের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা এখনও মুক্তি পাননি। কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। আমরা কেন্দ্রকে বলেছি। কিন্তু আজও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। অথচ এখানে বাংলাদেশের ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। আমরা তাদের উদ্ধার করে দেশে পাঠিয়েছি। কিন্তু আমাদের লোককে ওরা ছাড়েনি। কেন্দ্রও ব্যাপারটা দেখুক।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের