চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা বলেছে, সরকার ও প্রশাসন নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখতে হতো না।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। এ ছাড়া নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন এক ভিডিও বার্তায় এটি পড়ে শোনান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় এপিপি সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে মসজিদ ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। দুটি ঘটনাই অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জাতীয় নাগরিক কমিটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতার করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল
এতে আরও বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বেশ কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কতিপয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনাসহ বিভিন্ন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে নিষ্ক্রিয় অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কাজে অদূরদর্শী ভূমিকাও দেখা যাচ্ছে। এতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনোভাবেই প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন না এবং নিজেদের আধিপত্যবাদী শক্তির ক্রীড়নক বানাতে দেবেন না। দিল্লি এবং পতিত ফ্যাসিবাদী গণহত্যাকারী দলের পাতা ফাঁদে আমরা পড়তে যাচ্ছি। দেশের নাগরিকেরাই পারেন এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে।
তাতে আরও বলা হয়, চলমান ভয়াবহ অস্থিতিশীলতার দায় নিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম