রাজধানীর জুরাইন এলাকায় শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় দোকানিরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায় অন্তত দুটি ট্রেন আটকে পড়ে। একটি নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেন এবং অন্যটি নকশীকাঁথা কমিউটার ট্রেন। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা-মাওয়া-পদ্মাসেতু রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই অবরোধের ফলে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে।
গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বৃহস্পতিবারও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা হাইকোর্টের এই আদেশ মেনে নেবেন না এবং যতদিন পর্যন্ত তাদের রিকশা চালানোর অনুমতি না দেওয়া হবে, ততদিন তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম