যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার রিমান্ড মঞ্জু করা হয়। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম সুমনকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, রাতে মিরপুর পল্লবী এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র হত্যা মামলা রয়েছে।
এছাড়া, মিরপুর মডেল থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে দেন ব্যারিস্টার সুমন।
সেখানে তিনি লেখেন ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।