
কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি ফের জয় পেয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকির পর চলমান অস্থিরতার মধ্যেও জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই খবর দিয়েছে।
দেশটির জাতীয় সম্প্রচারক সিবিসি এবং সিটিভি নিউজ সোমবার রাতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি শীর্ষ পদ ধরে রাখবেন এবং ৩৪৩ সদস্যের পার্লামেন্টে তার দলের সদস্যরা সর্বাধিক আসনে জয়ের পথে রয়েছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
তবে ট্রাম্পের হুমকির মুখে কানাডার পক্ষে নিজেকে একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপনকারী অর্থনীতিবিদ কার্নি কী সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে সক্ষম হবেন নাকি তাকে কোনো ছোট দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পুরোপুরি পাল্টে যাওয়া এক রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে কানাডাবাসী তাদের নতুন সরকার নির্বাচন করছেন। কানাডার এই নির্বাচনকে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে দেখছেন।
ভোটের ঠিক আগের দিন, রোববার (২৭ এপ্রিল) ভ্যাঙ্কুভারে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জনসমাগমে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১১ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। এই ঘটনার পর কার্নি তার নির্বাচনী প্রচার সাময়িক স্থগিত করেন। একইভাবে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী পিয়েরে পলিয়েভ্রেও তার প্রচারে এই ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই দুর্ঘটনা ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করবে না।
নির্বাচনের প্রাক্কালে দুটি জরিপে লিবারেল পার্টিকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, লিবারেল দল ৪২ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছে, যেখানে কনজারভেটিভ দল পেয়েছে ৩৮ শতাংশ। আরেক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলরা ৪৪ শতাংশ ও কনজারভেটিভরা ৪০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। জরিপের ফলাফলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, লিবারেল পার্টি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম