
কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। সেই সম্ভাবনা আরও উস্কে দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ। সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনও সময় ভারত সামরিক অভিযানে নামতে পারে। তাই আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিজেদের কৌশলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তাঁর দাবি, ভারত যে হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে, এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর রয়েছে। যে কারণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এরপরই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। নিজেদের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করব।
গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়। গুলিতে নিহত হন ২৬ জন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক বড় পদক্ষেপ করে ভারত। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছেড়ে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থগিত রাখা হয় সিন্ধু জলচুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াঘা সীমান্ত।
পাল্টা হিসেবে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি হুঁশিয়ারি দেন, 'সিন্ধুতে হয় জল বইবে নয়তো ভারতীয়দের রক্ত।' পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলেন। জবাবে কড়া বার্তা শোনান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
'উস্কানিমূলক' বিষয়বস্তুর জন্য সোমবারই এক ডজনেরও বেশি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও সেনা মুভমেন্ট। তারপরই পরোক্ষে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি শোনালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ভারত কী জবাব দেয়, সেটাই দেখার।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম