
চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। একতরফা নয় বরং চীনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত চাইছে মার্কিন কর্মকর্তারা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সরকারি সূত্রের বরাতে এমনটা জানিয়েছে রয়টার্স।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “আমরা চীনের সঙ্গে একটি ন্যায্য বাণিয্যচুক্তি করতে যাচ্ছি।”
পরে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তিনি জানিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত রপ্তানিশুল্ক কমিয়ে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ব্যাপারটি বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেসাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, শুল্ক বাড়ানো বা কমানো সংক্রান্ত যে কোনো ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
চলতি বছর মার্চে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ২ এপ্রিল এক ঘোষণায় জানান, চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং ৭ এপ্রিল সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, বেইজিং যদি মঙ্গলবার ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে— তাহলে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে এবং ৯ এপ্রিল বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে।
ট্রাম্পের কথা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর হয়েছে বর্ধিত শুল্ক। এতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর মোট আরোপিত শুল্ক পৌঁছায় ১০৪ শতাংশে।
এই পরিস্থিতিতে গত ৮ এপ্রিল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প যদি তার এই ‘অপমানজনক’ শুল্ক নীতি জারি রাখেন, তাহলে চীনও ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই করবে। তারপর গতকাল ৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে চীন।
বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপের পর ৯ এবং ১০ এপ্রিল দুই দফায় চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বৃদ্ধি করেন ট্রাম্প। সর্বশেষ ১০ এপ্রিল রাতে, চীনা পণ্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্পের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
এর পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে বেইজিং। সূত্র : রয়টার্স
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম