রোববার,

১৩ এপ্রিল ২০২৫,

৩০ চৈত্র ১৪৩১

রোববার,

১৩ এপ্রিল ২০২৫,

৩০ চৈত্র ১৪৩১

Radio Today News

ভারতে বজ্রপাতে ৪৮ ঘণ্টায় ৮০ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ১১ এপ্রিল ২০২৫

Google News
ভারতে বজ্রপাতে ৪৮ ঘণ্টায় ৮০ জনের প্রাণহানি

বর্ষা মৌসুম আসার আগেই বিহার উত্তরপ্রদেশে ঝড়ের তাণ্ডব দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন বজ্রপাতে গত ৪৮ ঘণ্টায় বিহারের একাধিক জেলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৮ জনের। উত্তরপ্রদেশে মারা গেছেন ২২ জন। দুই রাজ্য প্রশাসনের আশঙ্কা এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বিহারের রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নালন্দা জেলাতেই অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ভোজপুরে ৫ জন এবং গয়া জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে পটনা, গোপালগঞ্জ, মুঙ্গের, সমস্তীপুর, জেহানাবাদ, মুজাফফরপুর, আরারিয়া ও বেগুসরাইয়ের মতো এলাকা।

বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সেখানে বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া বিহারের প্রশাসন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার পর্যন্ত বিহারের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এ কারণে নালন্দা, মধুবনী, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণসহ বিভিন্ন জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার বিহারের চারটি জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিহারে এর আগে বজ্রপাতে এতো মানুষের মৃত্যুর নজির নেই। গোটা রাজ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস রাজ্যবাসীকে খোলা আকাশের নীচে না থাকার পরামর্শ দিয়েছে। 

বজ্রপাতের সময় সবাইকে প্রশাসনের দেওয়া সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার। অন্যদিকে বিহারের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় কমপক্ষে সরকারিভাবে ২২ জন মারা গেছেন। 

ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, প্রবল বাতাসের কারণে দেওয়াল অথবা ছাদ ভেঙে ও বজ্রপাতে ১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়াও আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এছাড়াও বৃষ্টিজনিত অন্যান্য কারণে কানপুর, দেহাত, ফতেহপুর, ফিরোজাবাদ, কনৌজ, সন্তকবির নগর, সীতাপুর, সিদ্ধার্থনগর, আজমগড়, আমেঠি, বারাবাঁকি এবং বালিয়াসহ রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্যে ১১টিতেই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। 

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের