
ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেরুজালেমে পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিয়েছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আজ রোববার (৩০ মার্চ) এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, স্বাভাবিকভাবেই এত বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জায়গা হয়নি মসজিদে, তাই মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরেও অসংখ্য মুসল্লি নামাজ পড়তে বাধ্য হন।
এর আগে গত বছর আল-আকসায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আজ রোববার (৩০ মার্চ) সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত ও তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের ১১টি দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন এসব দেশের মুসলিমরা।
আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে ফিলিস্তিনেও। ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবারে মতো এবারও আল-আকসায় মুসল্লি প্রবেশ সীমিত করার উদ্দেশ্যে ইসরাইলি বাহিনী আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই হাজার হাজার মুসল্লি মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হন। লাখো মুসল্লির বিশাল সমাবেশে পরিণত হয় আল-আকসা প্রাঙ্গণ।
ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী আবু আল-হুম্মুস বলেন, ‘আমাকে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরাইলি নিরাপত্তাবাহিনী। শেষে মসজিদের বাইরের চত্ত্বরে নামাজ আদায় করেছি।’
আল–আকসায় ঈদের নামাজা আদায় করা একাধিক মুসল্লি জানান, নামাজ আদায় করতে আসা প্রতিটি মুসল্লিকে ব্যাপক তল্লাশি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভীষণ কড়াকড়ির মধ্যে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত দেড় বছর ধরে ভয়ঙ্কর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন দুর্বিষহ এক পরিস্থির মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ফিলিস্তিনিরা।