শুক্রবার,

২১ মার্চ ২০২৫,

৭ চৈত্র ১৪৩১

শুক্রবার,

২১ মার্চ ২০২৫,

৭ চৈত্র ১৪৩১

Radio Today News

গাজায় রক্তের নহর বইয়ে দেওয়ার পর নেতানিয়াহু, ‘কেবল মাত্র শুরু’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ১৯ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৪:২৭, ১৯ মার্চ ২০২৫

Google News
গাজায় রক্তের নহর বইয়ে দেওয়ার পর নেতানিয়াহু, ‘কেবল মাত্র শুরু’

গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৬২ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যারা রাতের বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।

রক্তের নহর বইয়ে দেওয়া এমন হামলার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটা কেবল মাত্র শুরু।’ তিনি হামাসকে হুমকি দিয়ে আরও বলেন, ‘এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে আরও তীব্রভাবে আঘাত হানা হবে, এবং সব ধরনের আলোচনা চলবে আগুনের মধ্যেই।’ খবর আনাদোলু এজেন্সির। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করেছিলাম, যদিও আমরা কোনো বন্দি পাইনি। তবে হামাস আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই আমরা হামলা চালিয়েছি।’

মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যস্থতায় কাতারের দোহায় যে নতুন যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল, তাতে পাঁচ ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ৫০ দিনের জন্য হামলা বন্ধ রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

হামাস শুক্রবার জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে এবং এক ইসরায়েলি-আমেরিকান সেনা ও চারটি মৃতদেহ ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমি আগেই হামাসকে সতর্ক করেছিলাম যে, যদি তারা আমাদের বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে যুদ্ধ আবার শুরু হবে—এবং সেটাই হয়েছে।’

ইসরায়েলি হিসাবে, গাজায় এখনো ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে, যার মধ্যে ২৪ জন জীবিত। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কারাগারে ৯,৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই নির্যাতন, অবহেলা ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্টে উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় হামলা নতুন করে শুরুর একটি বড় কারণ নেতানিয়াহুর সরকার টিকিয়ে রাখা। আগামী বাজেট পাশ করতে না পারলে তার সরকার ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হতো। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের চরম ডানপন্থী দল জিউইশ পাওয়ার পার্টিকে সরকারে ধরে রাখতে যুদ্ধ আবার শুরু করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গেল অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১২ হাজার জন আহত হয়েছে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজার যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-এ গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের