
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ ঢেলে সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তার এই উদ্যোগ ইরানের দ্বারপ্রান্তেও পৌঁছেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইরানের নেতাদের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেছেন, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কেননা, এটি ইরানের জন্য ভালো হবে। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
যদিও ট্রাম্পের এমন দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানিয়েছে, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নন তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ট্রাম্পের চিটি পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি শুক্রবার এএফপি’কে বলেছেন, শক্তি প্রয়োগ করলে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না তারা।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইতিহাস সাক্ষী যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে তা ইরানের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না।
এদিকে, চলতি মাসেই তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনার মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনকে সহযোগিতা করতে রাজি হয় মস্কো।
তাদের দাবি, যেভাবেই হোক ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে হবে।
অবশ্য ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে, তারা কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং দেশের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণে ইউরেনিয়ামকে সমৃদ্ধ করা ইরানের একমাত্র দাবি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম