
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সেনানিবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন বেসামরিক ও পাঁচজন সেনাসদস্য রয়েছেন।
বুধবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বরাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা এএফপি।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, দায়িত্ব পালন করার সময় পাঁচ সেনা বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া, ১৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
এদিকে পাক সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে ১৬ জনই নিহত হয়েছেন। আত্মঘাতী হামলায় জড়িত চার জঙ্গি গাড়ি বিস্ফোরণে আর বাকিরা সেনা কর্মকর্তাদের গুলিতে নিহত হন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বান্নু ক্যান্টনমেন্টে দুইটি বিস্ফোরকভর্তি ভ্যান গাড়ি ঢুকে পড়ে এবং এর পরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের পর সেখানে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণে বেশ আটটি বাড়ি ও গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানেই প্রাণ হারান ১৩ বেসামরিক ব্যক্তি ও আহত হন আরও ৩২ জন।
হাফিজ গুল বাহাদুর নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন এ হামলার দায় স্বিকার করেছে। সংগঠনটি ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে তালিবানদের যুদ্ধে সমর্থন জুগিয়ে গেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।